শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২০ অপরাহ্ন
বার্তা পরিবেশক :
খুরুশকুল সাম্পানঘাট এলাকায় কলেজ ছাত্রী ও বৃদ্ধসহ ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় এখনো আটক হয়নি কোন আসামী। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারণে তাদের আটক করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার ১০ দিন পরও আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় অজানা আতংকে ভুগছেন বাদীর পরিবার। শুধু তাই নয় আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে প্রতিনিয়ত ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশসহ নানা প্রকার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিনযাপন করছেন হামলার শিকার নিরহ পরিবারটি।
সোমবার মামলার বাদী মনি কাঞ্চন দে অভিযোগ করে বলেন-এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য হামলার গডফাদার সন্ত্রাসী পরিধন দে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
অভিযোগে জানা যায়-খুরুশকুল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাম্পানঘাট এলাকার সাধন চন্দ্র দে’র নামীয় বসতভিটা ও নাল জমিসহ জায়গা পার্শ্ববর্তী একদল পরধনলোভী লোক দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিল। এঘটনায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালত-কক্সবাজারে একটি মামলা দায়ের করে সাধন চন্দ্র দে গং। যাহার পি.আর মামলা নং-১৩৬৭/১৯। পরে আদালত কর্তৃক উক্ত জায়গা নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৩ জুলাই সকাল ৮টায় সাম্পানঘাট এলাকার মনিন্দ্র দে’র পুত্র পরিধন দে, পরীক্ষিত দে, বাবুল দে, একই এলাকার কার্তিক দে’র পুত্র অক্ষয় দে ডালিম, কাঞ্চন দে, বাবুল দে’র পুত্র রানা দে, রনি দে, মৃত যোগেন্দ্র দে’র পুত্র মনোরঞ্জন দে, সতীষ চন্দ্র দে, নন্দ্র কুমার দে, কন্যা তরুনী দে ও এলাকার পার্থ দে’র নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী উক্ত জায়গা দখলের জন্য মৃত সাধন চন্দ্র দে’র বসতভিটায় দা, কিরিচ, লোহার রড, কাঠের লাঠিসহ বিভিন্ন দৈশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন-মৃত সাধন চন্দ্র দে’র পুত্র গুরাধন দে (৫৫), অরুপ দে (৩২), গুরাধনের কন্যা কক্সবাজার সিটি কলেজের ডিগ্রীতে অধ্যয়নরত ছাত্রী মুন্নী দে (২০) ও পুত্র বাপন দে (২২)। আহতদের মধ্যে গুরাধন দে’র অবস্থা এখনো আশংকাজনক। হামলা ও বাড়ি ভাংচুরের পর সন্ত্রাসীরা নগদ ৬০ হাজার টাকা, ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। তাছাড়া সন্ত্রাসীরা হামলার শিকার পরিবারের নাল জমির চাষের ২০ হাজার টাকার মত ধান নষ্ট করে ফেলে। এই ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহতদের পরিবারের মনি কাঞ্চন দে বাদী হয়ে হামলার গডফাদার পরিধন দেকে প্রধান আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন (যার জি.আর নং-৫০৪/২০)। ঘটনার ১০ দিন পার হলেও এখনো কোন আসামী আটক হয়নি। উল্টো ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাহিত করার জন্য তথ্যসন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে পরিধন দে গং। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (১৩ জুলাই) দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় মামলার বাদী মনি কাঞ্চন দে এবং তার পরিবারকে নিয়ে একটি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে।
উক্ত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে মনি কাঞ্চন দে ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনীর মহড়া দিচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও হাস্যকর তথ্য ছাড়া কিছুই নয় বলে দাবী করেছেন মামলার বাদী মনি কাঞ্চন। তিনি অভিযোগ করে বলেন-ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে পরিধন গং আমাদের আমাদের হুমকি দিচ্ছে। তাছাড়া আমরা (মনি কাঞ্চন গং) স্থানীয় এমপি কিংবা পুলিশ বাহিনী ও ক্ষমতাসীনদের নাম ভাঙ্গিয়ে কিছুই করছি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি, গায়ের জোরে কিছুই করিনি। তাছাড়া সংবাদের আরেক অংশে উল্লেখ করা হয়েছে আমার (মনি কাঞ্চন) নেতৃত্বে জমির কাটাতার, জমির পিলার, বাড়ির ঘেরাবেড়া খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তা সম্পূর্ণ বানোযাট তথ্য। পরিধনের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও আহত করার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাহিত করার কু-মানসে এই ধরণের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। এই ধরণের মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানান মনি কাঞ্চন দে। তিনি এঘটনায় জড়িত এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভয়েস/আআ